আমি একটি সামান্য লোহিত রক্ত কনিকা (RBC)। মানবদেহের শোনিত প্রবাহে আমার অবস্থান। পৃথিবীতে মানব বসতির ঘনত্ব নির্ণীত হয় প্রতিবর্গমাইলে তাদের অবস্থানের ঘনত্ব দিয়ে। মানব রক্তে আমাদের ঘনত্ব বিপুল। পুরুষের রক্তে প্রতি মিলিলিটারে (ml) আমাদের অবস্থান প্রায় ৫৬ লাখ। মহিলাদের রক্তে তা প্রায় ৪৮ লাখ। সুস্থ প্রাপ্তবয়স্ক মানবদেহে রয়েছে প্রায় পাঁচ লিটার রক্ত। কাজেই যে কেউ হিসেব করে মানবদেহে আমাদের মোট সংখ্যা নির্ণয় করে ফেলতে পারেন। মানব সমাজ লাল রক্ত, নীলরক্তের বড়াই করে। আর হ্যাঁ, রক্ত কিন্তু আমাদের রংয়েই লাল, আমাদের রংয়েই নীল।
পৃথিবীতে কত জ্ঞানী গুনী লোক জন্ম গ্রহণ করেছেন। তাদের কেউ কেউ কবি, সাহিত্যিক, বিজ্ঞানী বা রাজনীতিক। এদের মধ্যে অনেকেই মনের মাধুরী মিশিয়ে সুন্দর করে আত্মকথা লিখেছেন। মানব সমাজ তা গড়ে আনন্দিত হয়, রোমাঞ্চিত হয়, উদ্দিপীত হয়। কিন্তু একটি সামান্য রক্ত কনিকার নিজের কথা বলার সুযোগ কোথায় আর তার কথা শুনেই বা কে? কিন্তু অতি ক্ষুদ্র হলেই তার কি কোন কথা থাকতে পারে না? সংসারের শত কাজের ফাঁকে, অবসরে কেউ যদি এই সামান্য রক্ত কনিকার আত্মকথায় চোখ বুলান এসামান্য আসা নিয়েই এই লেখার প্রয়াস।
জন্ম কথাঃ
জন্ম দিয়েই শুরু করি। মানব অস্থিমজ্জায় আমার জন্ম। অন্যান্য ভাই-বোন যেমন লিম্ফোসাইট (Lymphocytes), নিউট্রোফিল (Neutrophil), ইউসোনোফিল (Esinophil), মনোসাইটিস্ (Monocytes) ও অনুচক্রিকাসহ (Platelet) সকলেরই জন্ম মাতা মেগা ক্যারিওসাইস্ওে (Mega Karyocytes) মাতৃজঠরে। মেগা ক্যারিওসাইটস্টি আসে আবার স্টেম কোষ (Stem cell) হতে। ষ্টেমকোষ কোথা হতে আসে তা কেউ জানে না। মানবসমাজ তাদের পূর্ব পুরুষ খুঁজতে খুঁজতে বানরে গিয়ে ঠেকেছেন। বানরের লেজ খসে পড়ে নাকি মানুষ হয়েছে! তবে আশার কথা এই যে, ডারউইনের উক্ত বানর-তত্ত্বের লেজ খসে পড়ে তা আজ বৈজ্ঞানিকভাবে ভুল প্রমাণিত হয়েছে। আমাদেরও আভিজাত্য রক্ষা পেয়েছে। আমরা মানুষেরই রক্ত-বানরের নই। আমাদের আদি পুরুষ ষ্টেমকোষ (Stem cell) কোথা হতে আসে জানা না গেলেও আমরা ভাই-বোনেরা কিন্তু প্রায় একসাথেই একান্নবর্তী পরিবারের ভাই-বোনের মত বড় হয়ে প্রাপ্তবয়স্ক হয়ে উঠি। আমাদের বেড়ে উঠার পর্যায়গুলি খুবই জটিল ও তাৎপর্যপূর্ণ। তোমাদের হয়ত ভাল লাগবে না। তাই অন্য প্রসঙ্গে যাই।
বিজ্ঞানীরা হিসেব করে দেখিয়েছেন যে, প্রতিঘন্টায় প্রায়-1×1010 সংখ্যক লোহিত কনিকা প্রাপ্তবয়স্ক হয়ে রক্ত প্রবাহে প্রবেশ করে এবং সমসংখ্যক অর্থাৎ 1×1010 টি লোহিত রক্ত কনিকা তাদের কার্যশেষে মৃত্যুবরণ করে। পৃথিবীর মোট জনসংখ্যা বর্তমানে প্রায় ৬০০ কোটি। প্রতিঘন্টায় প্রত্যেকটি মানবদেহে 1×1010 সংখ্যক লোহিত রক্ত কনিকার জন্ম গ্রহণ ও মৃত্যুবরণ বিশাল ও বিস্ময়কর ব্যাপার বৈকি!
আমাদের গড় আয়ু ১০০-১২০ দিন। এজন্য রক্তদান করলে মানবদেহের কোন ক্ষতি হয় না। রক্তরসের অংশ কয়েক ঘন্টায় ও রক্ত কোষের অংশ ৩-৪ মাসের মধ্যে সম্পূর্ণ পূরণ হয়ে যায়। মানব দেহের সমস্ত ত্বকের আয়তন প্রায় ১.৭ বর্গমিটার। দেহ-বিজ্ঞানীগণ হিসেব করে দেখিয়েছেন যে, মানবদেহের সমস্ত লোহিত রক্ত কনিকার বহিরাবনের আয়তন প্রায় ২০০০ প্রাপ্ত বয়স্ক মানুষের ত্বকের আয়তনের সমান অর্থাৎ1.7×2000=3400 বর্গমিটার।
দেহের গঠনঃ
মানব সমাজ নর-নারীর দেহের গঠন, বিভিন্ন অঙ্গের মাপজোক ও বৃদ্ধিমত্তার বিচারে বিশ্ব-সুন্দর বা বিশ্ব-সুন্দরী নির্বাচিত করে থাকেন। আমাদের নিয়ে ওরকম নির্বাচনী প্রতিযোগীতা না থাকলেও পরীক্ষা-নিরীক্ষা ও মাপ-জোকের কিন্তু বিরাম নেই। আমাদের দেহের মাপজোক, আকার-আকৃতি ও গঠনের বিভিন্নতার বিচারে মানব প্রজাতির স্বাস্থ্য সৌষ্ঠবের বিচার বিশ্লেষণ হয়ে থাকে। সাধারণভাবে বর্তনাকৃতির আমাদের দেহের আয়তন প্রায় ৭.২ মাইক্রন। আমাদের দেহের মূল অংশ হিম (Hem) ও গ্লোবিন (Globin) নামক আমিষ কনায় গঠিত। হিমোগ্লোবিনের গঠন অত্যন্ত জটিল ও বিস্ময়কর। হিম অংশে রয়েছে চারটি লোহার (Iron) অনু যা অক্সিজেনকে চুম্বকের মত টেনে নিয়ে রক্ত কনিকায় জায়গা করে দেয়। ফলে তা রক্ত প্রবাহের মাধ্যমে মানবদেহের প্রত্যন্ত কোষ সমূহে ছড়িয়ে পড়ে। অক্সিজেনের কার্যস্থল দেহকোষ সমূহে পৌঁছালে লোহিত অনুর অক্সিজেন বন্ধন শিথিল হয়ে যায়। ফলে অক্সিজেন অনু দেহকোষে প্রবেশের সুযোগ পায়। উক্ত কাজের জন্য হিমোগ্লোবিনে ঘটে অনেকগুলি সুক্ষ্ম থেকে সুক্ষ্মতর জটিল প্রক্রিয়া যা কাজটিকে সহজতর করে দেয়। হিমোগ্লোবিনের গ্লোবিন অংশ মূলতঃ ৫৬৪টি অ্যামাইনো এসিডে গঠিত। লোহিত রক্ত কনিকার ত্রি-মাত্রিক গঠন ও অ্যামাইনো এসিডের বিশেষায়িত বিন্যাস জীবনের জন্য অপরিহার্য। হিমোগ্লোবিনের উক্ত জটিলতম গঠনের সামান্য হেরফের মানব জীবনের জন্য মহাবিপর্যয় ডেকে আনতে পারে।
কার্যাবলীঃ
দেহ বিজ্ঞানীগণ মানব দেহের রক্ত সঞ্চালন ব্যবস্থাকে (Circulatory System) একটি লোহিত রক্ত কনিকার দেহ ভ্রমণের সাথে তুলনা করেছেন। হৃদপিন্ডের বাম নিলয় হতে যাত্রা শুরু করে পরিশোধিত অক্সিজেন সমৃদ্ধ রক্ত নিয়ে লোহিত রক্ত কণিকা সারা দেহের কোষে কোষের প্রয়োজনীয় স্থানে পৌঁছে দেয়। উক্ত ভ্রমনে আমরা প্রতিটি লোহিত রক্ত কনিকা প্রায় ৬০,০০০ মাইল পরিভ্রমণ করি- যা বিষুব রেখা বরাবর পৃথিবী দুইবার ঘুরে আসার সমান। এর মধ্যে ৩৭,২৮০ মাইল রক্তনালী এতই সুক্ষ্ম ও দূর্গম যে তা অনুবীক্ষণযন্ত্র ছাড়া দেখা যায় না। এমন সুক্ষ্ম ও দূর্গম পথে আমাদের ভ্রমন চলছে অতি দ্রুত ও নিপুনতায়- আপনার অজান্তে-সর্বক্ষন, সর্বাবস্থায়। বিজ্ঞানীরা প্রমাণ করেছেন ফুসফুস হতে অক্সিজেন গ্রহণের পর তা সাধারণ ভাবে প্রায় ১০ সেকেন্ড সময়ে দেহ কোষের প্রয়োজনীয় স্থানে পৌঁছে দেই আমরা। জরুরী মুহূর্তে এমনকি ২-৩ সেকেন্ডে আমরা অক্সিজেন পৌঁছে দিই প্রয়োজনীয় স্থানে। মহান সৃষ্টিকর্তার সৃষ্টি সত্যিই বিস্ময়কর। হৃদপিন্ডের বাম নিলয় হতে ভ্রমন শুরু করে প্রত্যন্ত দেহকোষে অক্সিজেন পৌঁছে ফিরে আবার হৃদপিন্ডের ডান নিলয়ে ফিরে আসতে আমাদের লোহিত রক্ত কনিকাদের প্রায় ৪০ সেকেন্ড সময় লাগে।
ডান নিলয় হতে ফুসফুসে প্রবেশ করে আমরা কনিকাগুলি কার্বন-ডাই-অক্সাইড ত্যাগ করি ও অক্সিজেন গ্রহণ করে পুনরায় আবার হৃদপিন্ডের বাম নিলয়ে ফিরে আসি- যেখান হতে আমাদের প্রথম ভ্রমণ শুরু হয়েছিল। ফুসফুসে অক্সিজেন গ্রহণ ও কার্বন-ডাই-অক্সাইড ত্যাগে আমাদের সময় লাগে ২০ সেকেন্ড। প্রতি মিনিট অর্থাৎ ৬০ সেকেন্ডে আমরা প্রতিটি লোহিত রক্ত কনিকা দেহের ৬০,০০০ মাইল পথ পরিভ্রমণ করে আমাদের যাবতীয় কার্যাবলী সম্পন্ন করি। উক্ত সময় অর্থাৎ প্রতি মিনিটে আমরা লোহিত রক্তকনিকারা মানবদেহের জন্য 56×1021 টি অক্সিজেন অনু বায়ু কোষ (Alveoli) হতে গ্রহণ করে দেহের কোষে কোষে পৌঁছে দেই।
রক্তের গ্র“প (Blood group):
“কালা আর ধলা বাহিরে কেবল ভিতরে সবারই সমান রাঙা” মূলতঃ রক্তের কারণে হলেও জরুরী প্রয়োজনে মূমূর্ষ রোগীকে রক্তদান করতে গেলে সবার রক্ত সবাইকে দেওয়া যায় না। গ্র“প মিলিয়ে রক্ত দিতে হয়। রক্তের রয়েছে প্রধান চারটি গ্র“প তথা এ (A), বি (B), এবি (AB) এবং ও (O) । উক্ত গ্র“পগুলি নির্নীত হয়েছে আমাদের লোহিত রক্ত কনিকার আবরণে স্থিত এক ধরণের এন্টিজেন তথা এগ্লোটিনোজেনের (agglutinogen) জন্য। উক্ত এন্টিজেনগুলি মেন্ডেলিয়ান আবিস্কৃত (Gregor Johan Mendel 1822-1884) প্রকট (dominant) পদ্ধতিতে জন্মগতভাবে নির্ধারিত। টাইপ এ (A) ব্যক্তির রক্তের লোহিত রক্ত কনিকায় এ এন্টিজেন, টাইপ বি (B) ব্যক্তির রক্তের কনিকায় বি এন্টিজেন, টাইপ এবি (AB) ব্যক্তির রক্তে এবি (AB) এন্টিজেন বর্তমান থাকে। অন্যদিকে টাইপ ও (O) ব্যক্তির রক্তের লোহিত কনিকার আবরণে কোন ধরণের এন্টিজেন থাকে না। এ (A) ও বি (B) রক্ত গ্র“পের জন্য মূলতঃ একটি অত্যন্ত জটিল ওলিগোসেকারাইডস (oligosaccharides) দায়ী যা উক্ত গ্র“পের ব্যক্তির লোহিত রক্ত কনিকার আবরণে বর্তমান থাকে। এ (A) গ্র“পের রক্তকে আরোও সুক্ষ্মতর ভাবে বিশ্লেষণ করতে গিয়ে দেখা গেছে যে, প্রতিটি কোষে প্রায় ২৫০,০০০-১,০০০,০০০ কপি এন্টিজেন বর্তমান। রক্ত কনিকার আবরনে বর্তমান এন্টিজেন বা এগ্লোটিনোজেনের এন্টিবডির নাম এগ্লোটিনিন (agglutinins)। এ (A) ও বি (B) এর খুবই নিকটবর্তী প্রকৃতির এন্টিজেন বর্তমান থাকে নবজাতকের অন্ত্রনালীর জীবানু সমূহে। নবজাতকের জন্মের পরপরই যে খাবার দেয়া হয় তাতেও উক্তরূপ এন্টিজেন বর্তমান থাকে। কাজে কাজেই তার শরীরে নাই এমন ধরণের এ (A) গ্র“পের নবজাতকের দেহে বি-গ্র“পের বিরুদ্ধে এন্টিবডি তৈরী হয়ে যায়। বি-গ্র“পের নবজাতকের দেহে এ-গ্র“পের বিরুদ্ধে এন্টিবডি তৈরী হয়ে যায়। ও (O) গ্র“পের নবজাতকের দেহে এন্টি-এবি (AB) এন্টিবডি তৈরী হয়। অন্যদিকে শুধু এবি-গ্র“পের নবজাতকের রক্তে কোন ধরণের এন্টিবডি তৈরী হয় না।
সুতরাং যখন এ-গ্র“পের রক্তের প্লাজমার সাথে বি-গ্র“পের লোহিত রক্ত কনিকা মিশানো যায় তখন এন্টি-বি এন্টিবডি (anti-B antibody) কোষগুলিকে তঞ্চিত করে ফেলে। তখনই চিকিৎসকগণ নিশ্চিত হন যে, উক্ত ব্যক্তির রক্তের গ্র“প এ (A)। অনুরূপভাবে অন্যান্য রক্তের গ্র“পগুলিকেও নির্ধারণ করা হয়। রক্তের গ্র“প নির্ধারণের ক্ষেত্রে ব্যক্তির রক্তের সাথে তঞ্চিত এগ্লোটিনিন এন্টি-সিরা (agglutinin anti-sera) মিশিয়েও পরীক্ষা করা যায়। স্লাইডে তঞ্চানায়ন (clumping) দেখে গ্র“প নির্ধারণ করা হয়।
উক্ত প্রধান চারটি রক্তের গ্র“প ছাড়াও আরএইচ ফ্যাক্টর (জঐ ভধপঃড়ৎ) রক্তের গ্র“পের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। রিসাস প্রজাতির বানর (ৎযবংঁং সড়হশবু) নিয়ে গবেষণায় এটি প্রথম সনাক্ত হয় বিধায় তা রিসাস ফ্যাক্টর (জযবংঁং ভধপঃড়ৎ) বা আরএইচ ফ্যাক্টর (জঐ ভধপঃড়ৎ) নামে পরিচিত। যাদের রক্তে ডি-এগ্লোটিনিন (উ-ধমমষঁঃরহং) থাকে তারা আরএইচ পজিটিভ। যাদের রক্তে ডি-এগ্লোটিনিন বর্তমান নেই তারা আরএইচ নিগেটিভ। ককেশীয় জাতিগোষ্ঠির শতকরা ৮৫% জন আরএইচ পজিটিভ ও ১৫% জন আরএইচ নিগেটিভ। অন্যদিকে এশীয়দের শতকরা প্রায় ৯৯% জন আরএইচ পজিটিভ। রক্তদান ও রক্ত পরিসঞ্চালনের ক্ষেত্রে উপরোক্ত বিষয়াদি সুক্ষ্মভাবে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে ব্যবস্থা নিতে হয়। জরুরী প্রয়োজনে রক্ত পরিসঞ্চালনের সময় এক গ্র“পের রক্ত অন্য গ্র“পের ব্যক্তির দেহে প্রবেশ করালে রক্ত নালিকায় রক্ত জমাট বেঁধে মারাত্মক প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি করতে পারে। এজন্যই রক্ত পরিসঞ্চালনের পূর্বে দাতা ও গ্রহীতার রক্ত পরীক্ষা করে গ্র“পিং ও ক্রস মেচিং (পৎড়ংং-সধঃপযরহম) করিয়ে নিতে হয়।
অত্যন্ত জরুরী মূহূর্তে জীবন আশঙ্কা দেখা দিলে প্রয়োজনে ও (ঙ) গ্র“পের রক্ত সঞ্চালন করা যায়। কিন্তু তাতেও বিপদ ঘটতে পারে। এ-গ্র“পের ব্যক্তি এ-গ্র“প ও এবি (অই) গ্র“পের ব্যক্তিকে রক্ত দিতে পারে। বি-গ্র“পের ব্যক্তি বি-গ্র“প ও এবি-গ্র“পের ব্যক্তিকে রক্ত দিতে পারে। কিন্তু এবি গ্র“পের ব্যক্তি শুধুমাত্র এবি-গ্র“পের ব্যক্তিকে রক্ত দিতে পারে। অন্যদিকে ও (ঙ) গ্র“পের ব্যক্তি সবাইকে রক্ত দিতে পারে। বি-গ্র“পের ব্যক্তি বি-গ্র“প এবং ও (ঙ) গ্র“পের ব্যক্তির রক্ত গ্রহণ করতে পারে। অন্যদিকে এবি-গ্র“পের ব্যক্তি যে কোন গ্র“পের রক্ত গ্রহণ করতে পারে। কিন্তু ও (ঙ) গ্র“পের ব্যক্তি কেবলমাত্র ও-গ্র“পের রক্ত গ্রহণ করতে পারে। এজন্যই ও-গ্র“পকে সার্বজনীন দাতা এবং এবি-গ্র“পকে সার্বজনীন গ্রহীতা হিসেবে অবিহিত করা হয়। কিন্তু সার্বিক নিরাপত্তার জন্য গ্র“পিং ও ক্রস মেচিং (পৎড়ংং সধঃপযরহম) ও আরএইচ ফ্যাক্টর (জঐ ভধপঃড়ৎ) পরীক্ষা করিয়ে রক্তবরণ (ঃৎধহংভঁংরড়হ) করতে হয়।
হে সৃষ্টির সেরা জীব মানুষ, একবার ভাবুন তো ! আপনার সুঠাম, সুন্দর, সুস্থ বিশাল দেহের তুলনায় কত ক্ষুদ্র আমরা এই লোহিত কনিকারা। স্বল্প সময়ের জীবনে আপনার প্রয়োজনে আমরা কত কাজ করছি আপনার অজান্তে- শুধু আপনারই জন্য। আপনি কি তা কখনো ভেবে দেখেছেন ? এ রকম শত সহস্র নিয়ামতের জন্য মহান সৃষ্টিকর্তা আল্লাহ’তালার শুকরিয়া আদায় করেন-সপ্রংস কৃতজ্ঞতায় আল্পুত হন কখনো ?
তথ্য সূত্রঃ
১. এধহড়হম ড.ঋ. এধহড়হম’ং জবারি ড়ভ গবফরপধষ চযুংরড়ষড়মু. ২৩ৎফ বফ. ঘবি উবষযর: ঞধঃধ গপএৎড়-িঐরষষ, ২০১০.
২. এুঁঃড়হ অঈ, ঐধষষ ঔঊ. ঞবীঃনড়ড়শ ড়ভ গবফরপধষ চযুংরড়ষড়মু. ১১ঃয বফ. চযরষধফবষঢ়যরধ: ঝধঁহফবৎং, ২০০৬.
৩. ঞযব ঐঁসধহ গরৎধপষব, ঐধৎঁহ ণধযুধ, ১ংঃ বহম. ঊফর. ঋবন, ২০০৮ নু ঈধৎষ ঘরহড় জড়ংংরহর. এষড়নধষ চঁনষরংযরহম, ঞধষধঃঢ়ধংযধ গধয. ঊসরৎমধুর ঈধফফবংর ওনৎধযরস ঊষসধং ওং গবৎশবুর, অ ইষড়শ কধঃ ৪ ঙশসবুফধহর-ওংঃধহনঁষ, ঞঁৎশবু.
৪. ওহঃবৎহবঃ.